পৃষ্ঠাসমূহ

শনিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১০

ওরে মজা রে ভাই....পার্ট ২

রোজার ঈদের পরদিন অর্থাৎ ১২.০৯.২০১০ তারিখে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে ট্যুরে যাওয়ার পরিকল্পনা করি। আমাদের সবার বাসা খুলনায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়ে এখন আমরা চাকুরিজীবি। প্রায় সবাই চাকরি করি ঢাকায়। তাই সবাই একসাথে মিলিত হওয়ার একমাত্র সুযোগ হল ঈদের ছুটি। তাই ঈদের ছুটিতে সবাই মিলে ট্যুরে যাওয়ার পরিকল্পনা করি। এই ট্যুরের নাম দেওয়া হয় "ওরে মজা রে ভাই"। দুর্ভাগ্যবশত আমি প্রথম ট্যুরে যেতে পারি নি। কিন্তু "ওরে মজা রে ভাই ......পার্ট-২" তে আমি অংশগ্রহণ করি। সিদ্ধান্ত হয় আমরা ১২.০৯.২০১০ তারিখে আমরা সকাল ৯.০০ টায় বাস স্ট্যান্ডে পৌছে যাব। কথামত আমরা সবাই ১২.০৯.২০১০ তারিখে ট্যুরে যাওয়ার উদ্দ্যেশে সোনাডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ডে পৌছালাম। আমাদের গন্তব্য ঐতিহাসিক "ষাট গম্বুজ মসজিদ"। আমরা রওনা হলাম ৯.৩০ এর দিকে।


রাস্তার মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে করতে আমরা অল্প সময়ের মধ্যে পৌছে গেলাম ষাট গম্বুজ মসজিদে। নেমেই আমাদের ক্ষুদা লেগে গেল। যদিও আমরা নাস্তা করেই বাড়ি থেকে বের হয়েছি, তারপরও আমরা বাস থেকে নেমেই চলেই গেলাম মসজিদের পাশের দোকানগুলিতে। সেখানে আমরা ফটোসেশন করলাম।

মসজিদের ভিতর ঢুকতে টিকিট লাগে। আসলে মসজিদে যেতে টিকিট লাগে না কিন্তু এখানে একটি যাদুঘরও আছে। সেখানে প্রবেশ করতে টিকিট লাগে। তাই একবারে টিকিট কেটে ঢুকলাম আমরা। মসজিদ প্রাঙ্গনে ঢুকেই আমরা চলে গেলাম মসজিদের পিছনের পাশের পুকুরটাতে। এই পুকুরের একটি কাহিনী আছে। শোনা যায় এটা এখন দেখতে পুকুর মনে হলেও একসময় এটা আয়তনে বিরাট ছিল। এই পুকুর ঘুরে আসতে একটি ঘোড়ার নাকি পুরো একদিন লাগত। ঘটনাটা সত্যি কিনা জানি না। এখানে এখন পর্যটকদের জন্য বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যান্য জায়গা থেকেও অনেকে এসেছেন এখানে ঘুরতে। অদ্ভুত মনোরম দৃশ্য পুকুরের চারপাশে। চারিদিকে ঘন গাছপালা, দুএক জন সেখানে বড়শি দিয়ে মাছ ধরছিল।

পুকুরের পাশ দিয়ে চলে গেছে কাচা-পাকা রাস্তা। রাস্তার দু'পাশে ঘন গাছপালার সারি। অনেক রকমের গাছ। রাস্তা দিয়ে হেটে চললাম আমরা। প্রকৃত গ্রামের গন্ধ আমাদের নাকে ভেসে আসছে। অদ্ভুত ভাল লাগছে আমাদের। সাথে আমাদের গপসপ তো চলছেই। গপসপের অধিকাংশ অংশ জুড়ে ছিল আমাদের স্কুল জীবনের বিভিন্ন কাহিনী। আমাদের বিভিন্ন সময়ের অনেক মজার স্মৃতি আমাদের মনে পড়তে লাগল। কি সুন্দর ছিল সেই জীবনগুলো! দেখতে দেখতে যোহরের আযান দিয়ে দিল। আমরা দ্রুত চলে এলাম মসজিদে। বন্ধুদের সবাইকে ডেকে আমরা নামায পড়তে গেলাম।

নামায শেষ করে আমরা মসজিদের ভিতর ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। স্থাপত্যশৈলীর এক অপরুপ নিদর্শন এই মসজিদটি। মসজিদের আলাদা কোন ছাদ নেই। গম্বুজ দিয়েই ছাদ তৈরী করা। অর্থাৎ ছাদের উপরে গম্বুজ স্থাপন করা না। গম্বুজ দিয়েই ছাদ তৈরী। এখানে আসলে গম্বুজ আছে মোট ৭৭ টি। তবে বিভিন্ন কারনে নাম হয়ে গেছে ষাট গম্বুজ মসজিদ। মসজিদের ভিতরের সব পিলারগুলো এখন পুনর্নিমাণ করা হয়েছে। পিলারগুলো ছিল পাথরের তৈরী। একটি পিলার এখনও রেখে দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের দেখার জন্য। মসজিদের ভিতর নানা ইসলামি স্থাপত্য শৈলী রয়েছে। আমরা ঘুরে ঘুরে দেখলাম সব।

নামায পড়েই আমরা চলে গেলাম মাজারে। সেখানে আমরা একটি হোটেলে ঢুকলাম খেতে। যে হোটেলে খাওয়া দাওইয়া শুরু করলাম, একটু পরেই আবিষ্কার করলাম তাদের খাবার সব শেষের পথে। তাই তারা অন্য হোটেল থেকে খাবার নিয়ে এসে আমাদেরকে দিল। যাই হোক খাবার শেষ করলাম। শেষ করে আমরা মাজারে ঢুকলাম। সেখানে কদবেল দেখে আর লোভ সামলাতে পারলাম না। ২০ টাকা দিয়ে একটি কদবেল কিনে সবাই মিলে খাওয়া শুরু করলাম। তারপর হঠাৎ করে মাথায় এল যে যাওয়ার সময় বাসে না যেয়ে একটা মাইক্রো ভাড়া করে নিয়ে যাব। যেই কথা সেই কাজ। কয়েক বন্ধু গেল মাইক্রো খুজতে গেল। কিন্তু হায় আমাদের ভাগ্যে কোন মাইক্রো ছিল না। কারন আমাদের কাছে খুব বেশি টাকা ছিল না। যাই হোক অবশেষে দুটো টেম্পু ভাড়া করে আমরা আসরে নামাযের পরপর রওনা হলাম। টেম্পুর ভিতরে সবাই মিলে গান গাইতে গাইতে আমরা পৌছে গেলাম খান জাহান আলী (রুপসা) ব্রিজের কাছে। রুপসা ব্রিজে আমরা সবাই সিড়ি বেয়ে উঠলাম। সেখানে অনেকক্ষন ঘুরলাম। সন্ধ্যার পর যখন ব্রিজের সব লাইটগুলো জ্বলে উঠে তখন অপরুপ সাজে সজ্জিত হয় ব্রিজ। আমাদের বাসার ছাদ থেকে রুপসা ব্রিজ দেখা যায়। অনন্য সুন্দর লাগে সন্ধ্যার পর। আস্তে আস্তে রাত বাড়তে লাগল। আমাদেরও যার যার বাসায় ফিরে যাওয়ার পালা শুরু হল। আস্তে আস্তে আমরা বাড়ির উদ্দ্যেশে রওনা হলাম। তবে বাড়ি যাওয়ার আগে "ওরে মজা রে ভাই....পার্ট-৩" করার মনঃবাসনা নিয়ে সবাই বাড়ি রওনা হলাম।
খুশির সংবাদ, আমরা বন্ধুরা ঠিক করেছি আগামী ১৯.১১.২০১০ তারিখে আমাদের "ওরে মজা রে ভাই....পার্ট-৩" সম্পন্ন করব ইনশাল্লাহ। এই উপলক্ষে আমরা একটি অফিসিয়াল লোগোও তৈরী করছি। নিচে লোগোটি দেওয়া হল।

মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর, ২০১০

How to call MSSQL Stroed Procedure using PHP

Before beginning my writing, let me tell you about the errors generally an programmer can face. The errors may be like this:
mssql_bind() : unsupported type in line #
mssql_execute() : procedure needs parameter which is not supplie

Here is the solution:
First we have to know the general declaration of mssql_bind() function and its parameter. It is used to call a stored procedure of SQL Server 2000 using PHP.

mssql_bind(resource $string, "@Formal parameter", &$variable, int $TYPE, "bool is_output", "bool is_null", int maxlength);

Explanation of the parameters.
1. resource $string: This string can be obtained from mssql_init()

2. @Formal parameter: This is the name of formal parameter which is used in stored procedure.
You must need to add '@' character before parameter name.

3. &$variable: The PHP variable which you are using to bind to MSSQL parameter.

4. $TYPE: There are different types, such as: SQLTEXT, SQLVARCHAR, SQLCHAR, SQLINT1, SQLINT2, SQLINT4, SQLBIT, SQLFLT4, SQLFLT8, SQLFLTN. It depends what type of parameter you used in the stored procedure.

5. bool is_output: Whether the parameter of stored procedure is declared as Output ot not. If it is declared as output then value will be TRUE. Otherwise false. If you mention nothing then program will consider it as FALSE. Error message will be generated if you don't mention it correctly.

6. bool is_null: Whether the parameter of stored procedure is null or not. If it is null then we have to write TRUE otherwise FALSE.

7. int maxlength: The maximum length of parameter.

A simple example is given:

// Connect to MSSQL and select the database
mssql_connect('KALLESPC\SQLEXPRESS', 'sa', 'phpfi');
mssql_select_db('php');

// Create a new stored prodecure
$stmt = mssql_init('NewUserRecord');

// Bind the field names
mssql_bind($stmt, '@username', 'Kalle', SQLVARCHAR, false, false, 60);
mssql_bind($stmt, '@name', 'Kalle', SQLVARCHAR, false, false, 60);
mssql_bind($stmt, '@age', 19, SQLINT1, false, false, 3);

// Execute
mssql_execute($stmt);

// Free statement
mssql_free_statement($stmt);


An important thing is to remember:
Sometimes we write the code correctly but it shows error. In this case we have to check the "php.ini" file. You have to turn "allow_call_time_pass_reference" to ON. To do this, go to php.ini file and find it. Then uncomment it(remove the semi colon) and write "ON" on its write side.

Reference:
http://php.net/manual/en/function.mssql-bind.php
http://theserverpages.com/php/manual/en/function.mssql-bind.php
http://www.phptutorial.info/?mssql-bind




মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১০

How to connect sql server 2000 using php

There are several database systems which we can use in php such as sql server 2000, mySQL, etc. Connection with mySQL is very common now a days. But sql server 2000 is quite older. Although many are using this. The code for the connection with sql server is very easy but we need to very careful about some steps. I will discuss about these is this article. First we can go for the source code which is given below.
$con = mssql_connect("server_name", "username", "password");
Here 'server_name' is localhost or if any name of your sql server has. 'username' and 'password' is the sql server username and server password respectively.

Now you need to do some other important thing to work without any error message. I used WAMP server for it. You also can use XAMPP. As I used WAMP so I am telling what to do for this case.
Al you write the code correctly you can face some errors like:
Undefined function:mssql_connect(); in bla bla....
So here is the solution. After installing WAMP you will see the icon of WAMP at right bottom corner of the window. Click it, you will see some options. Go to PHP tab and then you will find php.ini file. Open it, find php_mssql.dll and uncomment it(remove the semicolon from the left). Another thing, go to php extensions and find mssql. Then check it. Now restart the server and again start it. Now you can run the program writing necessary codes. Hope it will work smoothly. Go for it.

শনিবার, ২৪ জুলাই, ২০১০

How to install wordpress in your home pc or localhost

Wordpress is now very popular to develop websites or blogging. If I want to blogging here then simply I can log on to wordpress and start blogging. But if anyone wants to develop websites with it then he/she must know about working principle of wordpress. Besides only PHP is used to create wordpress. So who knows PHP, he/she can easily develop a site with it. I will tell you that how can we develop sites with wordpress. Here I am going to start my wordpress tutorial.
To learn wordpress first we have to install wordpress. We can install wordpress in two ways. First, we can use cPanel. I will discuss about cPanel in another tutorial. But cPanel needs usename and password to log in. If we don't have this we can not use it. Another way is to install in localhost i.e, in your home pc.
As i said earlier that it supports only php so we will use XAMPP. Anyone can use other server like "wamp". XAMPP is a free and open source (X)cross-platform web server package, consisting mainly of the (A)Apache HTTP Server, (M)MySQL database, and interpreters for scripts written in the (P)PHP and (P)Perl programming languages. So we have to first install XAMPP.It's so easy.
Open the .exe file and show the location where have to extract it. After completion of extracting, got to the destination folder and see a folder named xampp is created. So xampp istallation is complete.
Now we have to install wordpress. It's so easy gys. This is 1st lesson of wordpress learnig tutorial. So, lets start.
Lesson 1.
Step 1: We have to download wordpress from the link http://wordpress.org/download/.

Step 2: Extract the .zip file and go inside to that folder. We will see another folder named "wordpress". Then copy this folder to xampp->htdocs->"wordpress".

Step 3: Open the brwoser and type: http://localhost/phpmyadmin

Step 4: We will see a window of database. At top right side we will see "Privilages" tab. Click on it. We will see "Add new user" link at bottom. Click on it. We will see "add new user" window. Fill the username field with an username suppose "screencast", host field as "localhost" and password field with the password. At the bottom of this we will see a radio button named "Create database with same name and grant all privilages". Check it. Then press the "Go" button at the bottom of this page. A simple database is created.

Step 5: Go to the browser again and type: http://localhost/wordpress. Then we will see a page. In that page press the button named "Create a configuration file". Then press "Let's Go" button.

Step 6: Then we will see a page where some fields such as "Database Name", "Username" etc are given. So fill this fields. Here database name is "screencast" which is given earlier when we created databse in phpmyadmin, username is"root" and fill the password field. Then press "Submit" button.

Step 7: In the next page we will see "Run and Install" button. Press it.

Step 8: After then we can see some fields like "Blog Title/Site Title", "Your email" etc. Please fill these fields. We can give anythig in "Blog Title/Site Title" fields as it is the name of our site. Then press "install Wordpress" buttom.

Step 9: We will see a log in window. We will change this username and password. So again type: http://localhost/phpmyadmin.

Step 10: Then click the database "screencast" at the left bar. Then click on the symbol where if anyone moves mouse on to it, it shows "Browser" in written form. Then in next page click on "edit" symbol. Change the field user_login to "screencast", user_name to "screencast" and display name to "screencast". Then press "Go" button.

Step 11: After that log on with the username and password. We will see a new page titled "Dashboard". That means we have completed wordpress installation successfully. Now we can go to our profile page, post an article etc.

Every can get help from this vedio file: http://www.youtube.com/watch?v=_xmPEVXUgTc

বৃহস্পতিবার, ৬ মে, ২০১০

ধুমপান: একটি মানবতা বিরোধী অপরাধ





অনেক দিন যাবত ভাবছিলাম ধুমপান বিষয়ে কিছু লিখব। তাই ধুমপান লিখে গুগলে সার্চ দিয়ে মাহফুজশান্ত নামের এক ডাক্তারে বাংলা ব্লগ খুজে পেলাম। লেখাটি খুব ভাল লাগল। তাই কপি পেষ্ট করলাম। ধন্যবাদ ডাক্তার ভাই।

'ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর'- শুধু ক্ষতিকর বললে কম বলা হবে। বরং বলা উচিত- 'ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর'। তা প্রত্যক্ষ হোক, কিংবা হোক পরোক্ষ ধুমপান। ধুমপানের কারণে এ পৃথিবীতে অনেক মানুষ সবার অজান্তে অকালেই ঝরে যাচ্ছে। ধুমপানের ফলে সৃষ্ট তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যাগুলো জীবনকে বিপন্ন করে তোলে। তামাকে যে নিকোটিন থাকে তা ভয়ানক আসক্তির সৃষ্টি করে। গবেষণায় দেখা গেছে সিগারেটের ধোঁয়ায় যে নিকোটিন থাকে তা হিরোইন অপেক্ষা শক্তিশালী।

*ধুমপানের সময় শ্বাসের সঙ্গে টেনে নেয়া নিকোটিন আতিদ্রুত (সাত সেকেন্ডের মধ্যেই) মস্তিষ্কে পৌঁছে যায়। যার প্রভাবে মস্তিষ্কের সূহ্ম রক্তনালী সংকোচনের ফলে অক্সিজেন সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সেইসাথে বিষাক্ত কার্বন-মনোক্সাইড গ্যাস রক্তে অনুপ্রবেশের ফলে মারাত্মক পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে। বুকে ব্যথা সহ হৃদপিন্ডের রক্তনালীর রোগ (clogged arteries) ও ফুসফুসের ক্ষতি হয়। সিগরেটের মধ্যে নিহিত রাসায়নিক উপাদান ও বিষাক্ত গ্যাসের কারণে ব্রঙ্কিয়াল এজমা, এম্ফাইসেমা, ব্রোঙ্কাইটিস, হৃদরোগ, উচ্চ-রক্তচাপ, হার্ট-এটাক, স্ট্রোক এবং ক্যান্সার হয়।

*ধুমপানের ফলে ডিস্‌লিপিডে- মিয়া হতে পারে অর্থাৎ রক্তে চর্বির মাত্রার হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটতে পারে ও ক্ষতিকারক লিপিডের পরিমাণ বৃদ্ধিতে নিকোটিনের ভূমিকা থাকতে পারে। প্রকৃতপক্ষে অধুমপায়ীদের তুলনায় ধুমপায়ীরা দুই থেকে তিন গুণ বেশী স্ট্রোক ও হার্ট-এটাকে ভোগে। গবেষণার আলোকে জানা গেছে যে, এল.ডি.এল-কোলেস্টেরল (low-density lipoprotein cholesterol -LDLc ) এথেরোস্ক্লেরোটিক প্লাকের সূত্রপাত ঘটায়, আর ধুমপান উক্ত প্লাকের অগ্রসরণের সাথে সংশ্লিষ্ট। ক্যারোটিড ধমনীতে ইকোলুসেন্ট-প্লাক তৈরিতে এল.ডি.এল-সি এর সংশ্লিষ্টতা বেশী এবং ধুমপানের সংশ্লিষ্টতা ইকোজেনিক-প্লাক তৈরিতে। প্লাকের সূত্রপাত ঘটাতে ও তা ছিন্ন হওয়ার ব্যাপারে এল.ডি.এল-সি মুখ্য ভুমিকা পালন করে। অন্যদিকে ধুমপানের কারণে এই প্লাক আরও শক্ত ও আঁশযুক্ত হয়।

*ধুমপায়ী মাতাদের ক্ষেত্রে মৃত-সন্তান প্রসব, অপূর্ণকালিক ও কম ওজন বিশিষ্ট সন্তান প্রশব বা গর্ভপাতের হার অনেক বেশী হয়।

*ধুমপান জনিত ক্যান্সারে যারা মৃত্যুবরণ করে তাদের মধ্যে ২২% -ই ফুসফুসের ক্যান্সার রোগী এবং যারা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় তাদের চারজনের মধ্যে একজন লোক ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগে থাকে। একনাগারে ৪০ বছর ধুমপান করলে স্তন-ক্যান্সারের সম্ভাবনা ৬০% বেড়ে যায় এবং এই ধুমপানের পরিমাণ প্রতিদিন এক প্যাকেট বা তার বেশী হলে এই ঝুঁকি ৮৩% বৃদ্ধি পায়। মুখ ও গলার ক্যান্সারে আক্রান্তদের ৯০% লোকই তামাক গ্রহণে অভ্যস্ত হয়ে থাকে। এছাড়াও লিভার, প্যাংক্রিয়াস, পাকস্থলি, মূত্রথলি, কিডনী ও সারভাইকাল ক্যান্সারও হতে পারে।



*সমপ্রতি গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, ধুমপানের কারণে ডিএনএ অনুক্রমের পরিবর্তন ঘটতে পারে। এর ফলে একজন পিতা যিনি ধুমপান করেন তার সন্তানেরা (inherit genetic damage) 'জিন' বা বংশগতি সম্বন্ধীয় ক্ষতির উত্তরাধিকারী হতে পারে। বিজ্ঞানী ও গবেষক ('Carole Yauk, Ph.D' - lead author of the study and research scientist in the Mutagenesis Section of Health Canada's Environmental and Occupational Toxicology Division.) এর মতে একজন ধুমপায়ী মাতার কারণে ভ্রূণের ক্ষতি হতে পারে, কিন্তু একজন ধুমপায়ী পিতা তার স্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের অনেক আগেই সম্ভাব্যরূপে আগত সন্তান-সন্ততির ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই যারা ভাবেন সন্তান জন্মাবার পরে ধুমপান ছেড়ে দেবেন, তারা ঠিক ভাবেন না। বরং সন্তান গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় থেকে এবং প্রচেষ্টা চালানোর বেশ আগে থেকেই ধুমপান বর্জন করা বাঞ্ছনীয়। মূল প্রবাহের তামাকের ধোঁয়ায় (Mainstream tobacco smoke - MTS) প্রায় ৪০০০ রাসায়নিক উপাদান থাকে, যেগুলোর বেশীর ভাগই (genotoxic) বংশানুগতির অন্যতম নিয়ন্ত্রক উপাদান 'জীন্‌' -এর জন্য বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে। সুতরাং বলা যায় যে, যারা সরাসরি তামাকের ধোঁয়ার সংস্পর্শে এসেছে তাদের কারণে তাদেরই ভবিষ্যৎ বংশধরেরা (যারা কখনই তামাকের ধোঁয়ার সংস্পর্শে আসেনি) বংশগতি সম্বন্ধীয় রোগের বাহক হিসেবে জন্ম নিতে পারে। সুতরাং এখনই সাবধান না হলে (genetic disease) বংশগতি সম্বন্ধীয় রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা যে দিন দিন বৃদ্ধি পাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।

*ধুমপানের কারণে স্বাদ ও গন্ধ নেয়ার ক্ষমতা হ্রাস পায়। সমপ্রতি এক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে যুবক বয়সেই ধুমপায়ীদেরকে বৃদ্ধের মত দেখায় এবং যে যত দীর্ঘ সময় ধরে যত বেশী বেশী ধুমপান করে তার মুখের চামড়া তত তাড়াতাড়ি ও তত বেশী কুঁচকে যায়। ধুমপান করলে আঙ্গুল, দাঁত ও ঠোঁট বিবর্ণ হয় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস, চুল ও কাপড়ে দূর্গন্ধ হয়।

*নিজে নয় দ্বিতীয় অর্থাৎ অন্য কোন ব্যক্তির কারণে ধোঁয়া শ্বাসের সঙ্গে টেনে নেয়া বা ফুসফুসে টেনে নেয়াকে পরোক্ষ ধুমপান (Passive smoking) বলা হয় এবং যা সাধারনত দুর্ঘটনাজনিত বা অনবহিতভাবে ঘটে থাকে। তামাক অর্থাৎ সিগারেট, বিরি বা চুরুটের ধোঁয়া এতই মারাত্মক যে এতে প্রায় তিনশ'র মত এমন সব রাসায়নিক উপাদান থাকে যেগুলো Carcinogenic অর্থাৎ ক্যান্সার উৎপন্ন করে। পরোক্ষ ধুমপান প্রত্যক্ষ ধুমপানের মতই মারাত্মক ও প্রাণঘাতি। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, তামাকের ধোঁয়ার সংস্পর্শে এলে হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার থেকে শুরু করে আরও অনেক গুরুতর স্বাস্থ্যহানী ঘটতে পারে। ক্যালিফোনিয়া এনভায়র্নমেন্টাল প্রটেকশন এজেন্সি -(California Environmental Protection Agency) এর মতে অক্রিয় ধুমপানের কারণে মহিলাদের স্তন-ক্যান্সার ও অপূর্ণকালিক সন্তান প্রশবের হার বেড়ে যায়। তাছাড়া এর ফলে হাঁপানি, ফুসফুসে ইনফেক্সন ও রক্তসঞ্চালনে সমস্যা হতে পারে। পরিবারে পিতা-মাতা ও অন্যান্য সদস্যদের ধুমপানের কারণে নিষ্পাপ কোলের-বাচ্চা ও ছোট ছোট শিশুরা মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হতে পারে। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে ধুমপায়ীদের শিশু-সন্তানেরা খুব সহজেই কাশি, সর্দি, ফুসফুসের সমস্যা তথা ব্রঙ্কিয়াল এজমা, কানের ইনফেক্সন, হৃদরোগ, এমনকি পরবর্তী জীবনে ফুসফুসের ক্যান্সারেও আক্রান্ত হতে পারে এবং মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। আশ্চর্যের বিষয় হলো; 'Colorado State University' ও 'University of Massachusetts'-এর পর্যবেক্ষণ অনুসারে ধুমপায়ী গৃহস্বামী ও অন্যান্য সদস্যদের ধুমপানের কারণে নিরীহ গৃহপালিত পশুরাও রেহাই পাচ্ছে না এবং এর ফলে গৃহপালিত কুকুর- 'Canine lung cancer' ও বিড়াল- 'Feline lymphoma' নামক অজ্ঞাত ক্যন্সারে আক্রান্ত হচ্ছে।

*তামাকের ধোঁয়া তেল-চালিত যানবাহন অপেক্ষা অনেক বেশী পরিমাণে পরিবেশকে দূষিত করে। সমপ্রতি ন্যা্লাল ক্যান্সার ইন্‌স্টিটিউট - ('particular matter' - PM emission test) 'পদার্থ কণিকা নির্গতকরণ পরীক্ষা'-এর মাধ্যমে গবেষণা চালিয়ে প্রমাণ করেছে যে, ডিজেল চালিত মন্দগতিতে চলা যন্ত্রের চেয়েও তামাকের ধোঁয়া অধিক হারে দূষণ সৃষ্টি করে।

*আর্থিক ক্ষতির কথা বিচার বিশ্লেষণ করলে একজন ধুমপায়ীকে “সচল টাকা পোড়ানর যন্ত্র”-এর সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। সে নিজে যেমন তার আয়ের একটা বড় অংশ বিষপানে ব্যয় করে, তেমনি অন্যদেরকে অনিচ্ছা সত্বেও বিষপানে বাধ্য করে। একজন ধুমপায়ীকে অমিতব্যয়ী বললে অত্যুক্তি হবে না এবং এতে তার রাগ করারও কিছু নেই। হিসেবের খাতা খুললে সে নিজেই তার বাস্তব প্রমাণ পেয়ে যাবে।

*মানুষ মহান স্রষ্টা আল্লাহতায়ালার সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। স্রষ্টার প্রতিনিধি হিসেবে সকল সৃষ্টিকুলের হিত সাধনের দায় মানুষের উপরেই বর্তায়। একজন ধুমপায়ী কখনই একজন খাঁটি মানবতাবাদী নয়। বিশেষ করে রাস্তা-ঘাটে, বাসে, ট্রেনে, ইউনিভার্সিটিতে যারা সিগারেট জ্বালিয়ে আঙ্গুলের ডগায় নাচিয়ে নাচিয়ে মানবতার কথা বলে, তারা নিজের সাথে নিজেরাই প্রতারনা করে। যারা ধুমপায়ী তাদের কাছে আমার প্রশ্ন যে তারা ধুমপানের মাধ্যমে নিজেদের ক্ষতি করছেন ভাল কথা (যদিও তাদের এটা করা উচিৎ নয়) কিন্তু অন্য মানুষের ক্ষতি করার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে? অক্রিয় ধুমপায়ীরা যদিও এ অপরাধের সাথে সরাসরি জড়িত নয়। তবে যারা ধুমপায়ীদেরকে ধুমপান থেকে বিরত রাখার জন্য চেষ্টা করেনা বা অন্ততপক্ষে এর বিরুদ্ধে কিছুই বলেনা, তারাও কিন্তু এ অপরাধের দায় থেকে পুরপুরি মুক্ত নয়। সুতরাং আসুন একজন দায়িত্ববান মানুষ হিসেবে ধুমপানের মত মানবতা বিরোধী, মারাত্মক ও মন্দ নেশাকে চিরতরে বর্জন করে সুস্থ ও কর্মময় জীবনের জন্য শপথ নেই। তরতাজা হৃদপিন্ড ও ফসফুসের অধিকারী হয়ে নিজেরা বুক ভোরে বিশুদ্ধ নিঃশ্বাস নেই এবং অপরকেও সে সুযোগ করে দেই। আমাদের চারপাশে যারা আছে সবার কথা ভেবে, বিশেষ করে নিষ্পাপ শিশুগুলোর মায়াভরা মুখের দিকে তাঁকিয়ে তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য তামাক-মুক্ত ও দূষণমুক্ত পরিবেশ গঠনে উদ্যোগী হই। সবশেষে আরও একটা প্রশ্ন আমি করতে চাই সেটা হল, সন্ত্রাসী যদি কাউকে মেরে ফেলে তাহলে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে যদি শাস্তি দেওয়া যেতে পারে তাহলে ধুমপায়ীর কারনে অন্য মানুষের যে ক্ষতি হচ্ছে তার জন্য তাকে কেন শাস্তি দেওয়া যাবে না?

শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১০

Fixture and Schedule of ICC World T20, 2010

Fixtures and Schedule:

The three countries in West Indies will be hosting the competition on 2010. Guyana, St. Lucia and Barbados will be hosting all the total of 27 matches. The series will be played in same format as in 2009 T20 World Cup. The finals on May 16 2010 will be hosted by Barbados. Here is the complete fixtures and schedule of T20 World Cup 2010:


























































DateMatch Details Time(GMT) Venue
Apr 30 - Fri Sri Lanka v New Zealand, 1st Match, Group B 17:00 Providence Stadium
Apr 30 - Fri West Indies v Ireland, 2nd Match, Group D 21:00 Providence Stadium
May 01 - Sat India v Afghanistan, 3rd Match, Group C 13:30 Beausejour Cricket Ground
May 01 - Sat Pakistan v Bangladesh, 4th Match, Group A 17:30 Beausejour Cricket Ground
May 02 - Sun South Africa v India, 5th Match, Group C 13:30 Beausejour Cricket Ground
May 02 - Sun Pakistan v Australia, 6th Match, Group A 17:30 Beausejour Cricket Ground
May 03 - Mon Sri Lanka v Zimbabwe, 7th Match, Group B 13:30 Providence Stadium
May 03 - Mon West Indies v England, 8th Match, Group D 17:30 Providence Stadium
May 04 - Tue New Zealand v Zimbabwe, 9th Match, Group B 13:30 Providence Stadium
May 04 - Tue England v Ireland, 10th Match, Group D 17:30 Providence Stadium
May 05 - Wed Bangladesh v Australia, 11th Match, Group A 13:30 Kensington Oval
May 05 - Wed South Africa v Afghanistan, 12th Match, Group C 17:30 Kensington Oval
May 06 - Thu A1 v D2, 13th Match 13:30 Kensington Oval
May 06 - Thu C1 v B2, 14th Match 17:30 Kensington Oval
May 07 - Fri A2 v C2, 15th Match 13:30 Kensington Oval
May 07 - Fri B1 v D1, 16th Match 17:30 Kensington Oval
May 08 - Sat C1 v D2, 17th Match 13:30 Kensington Oval
May 08 - Sat A1 v B2, 18th Match 17:30 Kensington Oval
May 09 - Sun C2 v D1, 19th Match 13:30 Kensington Oval
May 09 - Sun B1 v A2, 20th Match 17:30 Kensington Oval
May 10 - Mon B2 v D2, 21st Match 13:30 Beausejour Cricket Ground
May 10 - Mon A1 v C1, 22nd Match 17:17 Beausejour Cricket Ground
May 11 - Tue B1 v C2, 23rd Match 17:00 Beausejour Cricket Ground
May 11 - Tue D1 v A2, 24th Match 21:00 Beausejour Cricket Ground
May 13 - Thu 1st Semi-Final 15:30 Beausejour Cricket Ground
May 14 - Fri 2nd Semi-Final 15:30 Beausejour Cricket Ground
May 16 - Sun Final 15:00 Kensington Oval

বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১০

Difference betweeen Session and Cookies

Cookies can be set to a long lifespan, which means that data stored in a cookie can be stored for months if not years. Cookies, having their data stored on the client, work smoothly when you have a cluster of web servers, whereas sessions are stored on the server, meaning in one of your web servers handles the first request, the other web servers in your cluster will not have the stored information.[1]

Sessions are stored on the server, which means clients do not have access to the information you store about them - this is particularly important if you store shopping baskets or other information you do not want you visitors to be able to edit by hand by hacking their cookies. Session data, being stored on your server, does not need to be transmitted with each page; clients just need to send an ID and the data is loaded from the local file. Finally, sessions can be any size you want because they are held on your server, whereas many web browsers have a limit on how big cookies can be to stop rogue web sites chewing up gigabytes of data with meaningless cookie information.

The main difference between cookies and sessions is that cookies are stored in the user's browser, and sessions are not. This difference determines what each is best used for[2].

A cookie can keep information in the user's browser until deleted. If a person has a login and password, this can be set as a cookie in their browser so they do not have to re-login to your website every time they visit. You can store almost anything in a browser cookie. The trouble is that a user can block cookies or delete them at any time. If, for example, your website's shopping cart utilized cookies, and a person had their browser set to block them, then they could not shop at your website.

Sessions are not reliant on the user allowing a cookie. They work instead like a token allowing access and passing information while the user has their browser open. The problem with sessions is that when you close your browser you also lose the session. So, if you had a site requiring a login, this couldn't be saved as a session like it could as a cookie, and the user would be forced to re-login every time they visit.

You can of course get the best of both worlds! Once you know what each does, you can use a combination of cookies and sessions to make your site work exactly the way you want it to.

So, as you can see, each have their own advantages, but at the end of the day it usually comes down one choice: do you want your data to work when you visitor comes back the next day? If so, then your only choice is cookies - if you have any particularly sensitive information, your best bet is to store it in a database, then use the cookie to store an ID number to reference the data. If you do not need semi-permanent data, then sessions are generally preferred, as they are a little easier to use, do not require their data to be sent in entirety with each page, and are also cleaned up as soon as your visitor closes their web browser.

Reference:

1. http://www.tuxradar.com/practicalphp/10/1/0

2. http://php.about.com/od/learnphp/qt/session_cookie.htm